এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বাবার যৌন লালসার শিকার হচ্ছিলেন ১১ বছরের কিশোরী মেয়ে। অবশেষে মেয়েকে যৌন নিপীড়ন চালনার সময় স্ত্রীর হাতে ধরা পড়েছেন বাবা। মেয়েকে ধর্ষণে অভিযুক্ত ৪০ বছর বয়সী ওই বাবাকে ২০ বছরের জেল ও ১২টি বেত্রাঘাতের নির্দেশ দিয়েছে সিঙ্গাপুরের আদালত।
ধর্ষণকারীকে সাজা দেওয়ার সময় যৌন নিপীড়নের ছয়টি অভিযোগ বিবেচনা করেছে আদালত।মেয়েকে ধর্ষণ কারার বিষয়ে সত্যতা পেয়েছে আদালত। ধর্ষণকারী বাবার বিরুদ্ধে বলা হয়, গত ২০১৯ সালের আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর মাসে দুবার মেয়ের উপর যৌন ক্রিয়াকলাপ চালিয়েছে তার বাবা। এসময় মেয়ের বয়স ছিল ১০ বছর।
ধর্ষক বাবা যখন বুঝতে পারেন মেয়ে বিষয়টি কাউকে জানাচ্ছে না। তখন তিনি আরও সাহসী হয়ে ওঠেন এবং ধর্ষণের মাত্রা বাড়িয়ে দেন। সেপ্টেম্বর ২০১৯ সালের পর সপ্তাহে অন্তত একবার মেয়েকে ধর্ষণ করেছেন ওই বাবা। এ সময় পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে না থকলে কিংবা ঘুমিয়ে পড়লেই মেয়েকে ধর্ষণ করত ধর্ষক বাবা।
এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ স্ত্রীর ঘুমের সুযোগ নিয়ে মেয়েকে ধর্ষণ করতে থাকেন। খানিক পর স্ত্রীর ঘুম ভাঙলে মেয়ের শয়নকক্ষে প্রবেশ করে স্বামীকে মেয়ের কক্ষে দেখতে পান তিনি।
এ বিষয়ে তার স্ত্রী তাকে জিজ্ঞাসা করলে প্রথমে দুঃস্বপ্ন দেখেছেন বলে স্ত্রীকে মিথ্যা বলেন ওই বাবা। তাৎক্ষণিক মেয়েকে কম্বল দিয়ে ঢেকে দেন। পরে মেয়ের কাছে জানতে চাইলে, বাবার কাছ থেকে এর আগেও বহুবার যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন বলে জানান ভুক্তভোগী।